ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নাটোরে মাটিতে পুঁতে রাখা যুবকের মরদেহ উত্তোলন 

নাটোরে মাটিতে পুঁতে রাখা যুবকের মরদেহ উত্তোলন 

নাটোরে ৬ মাস আগে মাটিতে পুঁতে রাখা রুবেল হোসেন নামে এক যুবকের মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার রুয়ের ভাগ গ্রামের ওই মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।

নিহত রুবেল হোসেন নাটোর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর আমহাটি এলাকার রুপিজ উদ্দিনের ছেলে।

অভিযুক্ত হদয় হোসেনের বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর বাজার এলাকায় এবং তারেক রহমানের বাড়ি নাটোর সদন উপজেলার রুয়েরভাগ এলাকায়।

নাটোর জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, গত বছরের ১১ নভেম্বর হৃদয় হোসেন এবং তারেক রহমান জানতে পারে বন্ধু রুবেল হোসেনের বাবা অনেক ধনী ব্যক্তি। এরপর তারা টাকা আত্মসাতের জন্য রুবেলকে অপহরণ করে। এরপর তার পরিবারের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা মুক্তিপণ আদায় করার জন্য রুবেলকে ডেকে নিয়ে যায় তারেকের রুয়ের ভাগের বাড়িতে। সেখানে বন্ধু হৃদয় হোসেন এবং তারেক রহমান দুজনে মিলে রুবেলকে ঘুমের ঔষধ খাওয়ানোর পর তাকে হত্যা করে। হত্যার পরে তারা রুবেলের মরদেহ তারেকের বাড়ির পেছনে মাটিতে পুঁতে রেখে ঢাকায় চলে যায়। এরপরে তারা দুইজন রুবেলের বাবাকে মোবাইল ফোনে অপহরণের কথা বলে মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে রুবেলের বাবা পর্যায়ক্রমে তাদের চল্লিশ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠান।

তারপরও রুবেলকে ফেরত না দেওয়ায় ৪ ডিসেম্বর রুবেলের বাবা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি চলতি বছরে ১০ মে ডিবি পুলিশ তদন্তভার গ্রহণ করে। তদন্ত চলাকালিন অবস্থায় ডিবি পুলিশ ঢাকার দক্ষিণখান থানায় অন্য একটি মামলায় তারেক এবং হৃদয়কে গ্রেফতার করে নাটোরে নিয়ে আসে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে শনিবার রাতে সদর উপজেলার রুয়ের ভাগ গ্রামের

তারেকের বাড়ির পেছন থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা রুবেলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

নাটোর,মরদেহ,মুক্তিপণ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত